"শিশুদের জন্য হ্যাঁ বলুন" পথশিশুদের কখনো অবহেলা করবেন না। সুযোগ পেলে তারাও বিশ্ব জয় করতে পারবে! পথশিশুদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন। পথশিশুদের নিজের সন্তানের মত ভাবুন, তাদের সন্মান দিন। পথশিশুরা রাস্তায় জন্ম নেয় না তারা কোন না কোন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় চলে আসে।-- দিদারুল ইকবাল

Friday, May 28, 2010

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে পতিতাবৃত্তি বাড়ছে

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে পতিতাবৃত্তি বাড়ছে


বিশ্বকাপে মাতোয়ারা সারা বিশ্ব৷ হাতে আছে আর মাত্র কয়েকটি দিন৷ সবার দৃষ্টি দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে৷ আনন্দের জোয়ার বইছে সেখানে৷ কিন্তু পুরোটাই কি আনন্দ?

দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, জোর করে মেয়েদের পতিতালয়ে পাঠানো হচ্ছে, মেয়েদের আনা হচ্ছে পতিতাবৃত্তির জন্য৷ অনেকেই জোর দিচ্ছেন, পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার ওপর৷

ডার্বান'এ সাত সকালেই প্রায় ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রী একটি ঘরে এসেছে৷ সেখানে তাদের বোঝানো হচ্ছে, জোর করে কেউ যদি তাদের কোথাও নিয়ে যেতে চায়, তাহলে কীভাবে তা প্রতিহত করতে হবে৷ ঘরের প্রতিটি জানালা ভারী পর্দা দিয়ে ঢাকা৷ গুমোট অন্ধকার৷ যারা এসেছে, তাদের বেশির ভাগই মেয়ে৷ এবং এসব মেয়ের উদ্দেশ্যেই প্রয়োজনীয় কথাগুলো বলতে চান বঙ্গিভে মাথেথোয়া৷ বঙ্গিয়ে একজন নান৷ স্থানীয় একটি গীর্জার দায়িত্বে তিনি রয়েছেন৷ তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি সংগঠন৷ সংগঠনের মূল লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করা, বিপদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করা৷ বিশেষ করে বিশ্বকাপ ফুটবলের কারণে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এখন বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে৷ বঙ্গিয়ে এবং তাঁর অন্যান্য সহকর্মীরা এপর্যন্ত প্রায় ১০০টি বিভিন্ন ধরণের আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন৷ বিশেষ করে স্কুলের বাচ্চাদের বুঝিয়েছেন, কীভাবে অপরিচিতদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে৷

বার বার বলা হচ্ছে, ‘‘তোমাদের খুবই সাবধানে থাকতে হবে৷ অপরিচিত কেউ যদি তোমাদের কোন ধরণের খাবার বা পানীয় দেয়, কখনো তা খাবে না, গ্রহণ করবে না৷ এসব খাবার বা পানীয়র মধ্যে মাদক মেশানো থাকতে পারে৷''

এভাবেই সতর্কবাণী উচ্চারিত হচ্ছে এসব সভায়৷ জুলু ভাষায় তা পরিচালনা করা হচ্ছে – যাতে খুব সহজেই যে কেউ বুঝতে পারে৷

ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অপহরণের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে৷ ক্যামেরা নিয়ে পাচারকারীরা পথে পথে ঘুরছে৷ অল্প বয়স্ক মেয়েদের ছবি তুলে নিচ্ছে৷ ছবিগুলো চলে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের অতিথিদের কাছে৷ বঙ্গিয়ে বললেন,‘‘ এসব পাচারকারীরা দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যাচ্ছে৷ বিশেষ করে দরিদ্র এলাকায় তারা সারাক্ষণই ঘোরাঘুরি করছে৷ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, বিশ্বকাপ চলাকালে প্রতিটি স্কুল বন্ধ থাকবে৷ তখন এসব বাচ্চারা কারণ-অকারণে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে, খেলা করবে – তখন তাদের তুলে নেয়াও সহজ হবে৷ বিশ্বকাপ চলাকালে আমাদের বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি বিপদের সম্মুখীন হবে৷ আমাদের যদি ক্ষমতা থাকতো, সামর্থ্য থাকতো, তাহলে এসব বাচ্চাদের বিশ্বকাপ চলাকালে দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে আমরা নিয়ে যেতাম৷''

তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে যে সংগঠন বঙ্গিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেই সংগঠন প্রায়ই সেমিনারের আয়োজন করে থাকে৷ সে সভায় একদিন এসেছিল মান্ডিসা৷ ২৪ বছর বয়স্ক মান্ডিসা জানালো, কীভাবে তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, পতিতা হতে বাধ্য করা হয়েছিল৷ মান্ডিসা বলল তাঁর দুঃখের কাহিনী, ‘‘আমাকে প্রথমে মাদক দিয়ে অবচেতন করা হয়৷ আমার কিছুই মনে ছিল না৷ আমার কী হচ্ছে, আমার আশে-পাশেই বা কী হচ্ছে – আমি কিছু টের পাচ্ছিলাম না৷ যে লোকটি আমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, সে আমাকে একটি ঘরে বন্দী করে রেখেছিল৷ আমার হাত-পা বাঁধা ছিল৷ সে অবস্থায় সে আমাকে ধর্ষণ করে৷ এরপর আমাকে পাঠানো হয় বিভিন্ন খদ্দেরের কাছে৷''

অনেক কষ্ট করে মান্ডিসা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল৷ মুক্ত হওয়ার পরই সে সোজা চলে গিয়েছিল কর্তৃপক্ষের কাছে৷ এ বছর বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে প্রায় চল্লিশ হাজার মেয়েকে জোর করে পতিতালয়ে পাঠানোর চেষ্টা হবে – জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ কর্তৃপক্ষ৷

দক্ষিণ আফ্রিকার ডার্বান'এ আরেক সংগঠন স্ভেট -এর জোর দাবি, পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করা হোক৷ এর ফলে জোর করে কোন মেয়েকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে না৷ সংগঠনের প্রধান ভিভিয়ান লালু জানান, বিশ্বকাপের আগেই তা হওয়া উচিৎ৷ অবৈধ বলেই ঠিক কতজন মানুষ এইড্স রোগে আক্রান্ত তার সঠিক হিসাব কেউ জানে না৷

ভিভিয়ান আরো বললেন, ‘‘ আমাদের ধারণা এই পেশাকে বৈধ করা হলেই এইচ আই ভি বহনকারীদের সঠিক সংখ্যা আমরা জানতে পারবো৷ তখন জোর করে কাউকে এই পেশায় আনা হবে না৷ এইড্স রোগটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে৷ ২০০৬ সালে জার্মানিতে বিশ্বকাপ চলাকালে বল হয়েছিল, চল্লিশ হাজার মেয়েকে জোর করে ধরে আনা হয়েছে পতিতাবৃত্তির জন্য৷ শেষ পর্যন্ত একটি মেয়েকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি, যে অনিচ্ছায় জার্মানিতে পতিতাবৃত্তির জন্য গিয়েছিল৷ দক্ষিণ আফ্রিকাতেও শেষ পর্যন্ত তা-ই হবে৷ ''


তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে/ ২৭-০৫-২০১০

Thursday, May 27, 2010

বাংলাদেশী বালকের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক : সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা জেলে

বাংলাদেশী বালকের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক : সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা জেলে


বাংলাদেশী এক বালকের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করায় মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএস এইডের চুক্তিভিত্তিক সাবেক এক কর্মকর্তাকে সাড়ে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ফেডারেল আদালত৷ বার্তা সংস্থা এপি এবং এএফপি পরিবেশিত ঐ খবরে জানানো হয়েছে, সাতষট্টি বছর বয়স্ক ঐ ব্যক্তির নাম উইলিয়াম রাড৷ যিনি ইউএস এইডের হয়ে বাংলাদেশে কাজ করতেন৷ তার বিরুদ্ধে বরাবরই অভিযোগ ছিল শিশুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের মতো অপরাধের৷ ২০০৪ সালের জুন মাসে তাকে ঢাকার একটি হোটেল থেকে আটক করা হয়৷ সে সময় তার হোটেল কক্ষে ছিল তিনজন বালক৷ এদের সকলের বয়স ১৬ বছরের নীচে৷ তিন জনের মধ্যে দুই জন অভিযোগ করে যে রাড তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন৷ অপর বালকটির বয়স ১০ বছর৷ সে জানায়, ইউএসএইডের ঐ কর্মকর্তা তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে৷ এই ঘটনার পরপরই রাড পাড়ি জমায় টোগোতে৷ কিন্তু থেমে ছিল না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্ত৷ তদন্তের পর রাডের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পান তদন্তকারী কর্মকর্তারা৷ তারা জানান, ঐ বালকের সঙ্গে ছয় মাস ধরে যৌন সম্পর্ক বজায় রেখেছিল রাড৷ তবে টোগোতে তাকে আটক করা হয় ইমিগ্রেশন আইন ভঙ্গ করার কারণে৷ আর শিশু নির্যাতনের ঘটনার ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তাকে আটক দেখায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ শিশুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে উইলিয়াম রাড শিশু নির্যাতন করেছেন - এ কথা জানিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত ফেডারেল আদালতের বিচারক রাডকে সাড়ে ছয় বছরের কারাদনণ্ড প্রদান করেন গতকাল সোমবার৷ একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিশুটিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫০০০ মার্কিন ডলার দেবার নির্দেশ দেয়া হয়৷ ঘৃণ্য এই কাজ স্বাভাবিক কোন মানুষ করতে পারে না উল্লেখ করে আদালত ঐ ব্যক্তিকে আরও ১০ বছর সংশোধনী কেন্দ্রে রাখার আদেশও দিয়েছে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী


তথ্য সূত্র: ডয়চে ভেলে/২৬-০৫-২০১০


Wednesday, May 26, 2010

কিশোরীর শ্লীলতাহানির অপরাধে হরিয়ানার প্রাক্তন পুলিশ প্রধানের দেড় বছর কারাবাস

কিশোরীর শ্লীলতাহানির অপরাধে

হরিয়ানার প্রাক্তন পুলিশ প্রধানের দেড় বছর কারাবাস


অবশেষে ১৬ বছরের কিশোরী রুচিকা গীরহোত্রার শ্লীলতাহানির অপরাধে হরিয়ানা পুলিশের প্রাক্তন প্রধান এসপিএস রাঠোরের কারাবাসের মেয়াদ ৬ মাস থেকে বাড়িয়ে দেড় বছর করার আদেশ দেন চন্ডীগড়ের এক আদালত৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জেলহাজতে পাঠাবারও নির্দেশ দেন পুলিশকে৷

২০ বছর আগে চন্ডীগড়ের কাছে পাঁচকুলা শহরে ১৬ বছরের উঠতি টেনিস খেলোয়াড় রুচিকার শ্লীলতাহানি করেছিল হরিয়ানার সাবেক ডিজি এস পি এস রাঠোর৷ তারপরেও রাঠোরের লোকজন রুচিকাকে ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করতো৷ মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে তার তিন বছর পর রুচিকা আত্মহত্যা করে৷ পুলিশ প্রধানের ভয়ে রুচিকার পরিবার তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যেতে ভয় পান৷

রুচিকা পরিবারের বন্ধু আনন্দ প্রকাশ ও তাঁর মেয়ে আরাধনা ছিল সেসময় এই ঘটনাক্রমের সাক্ষী৷ রুচিকার অনাবাসী বান্ধবী আরাধনা দেশে ফিরে ১৮ বছর পর রাঠোরের বিরুদ্ধে মামলা করেন৷ কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর বিশেষ আদালত গত বছর ডিসেম্বরে রাঠোর কে ঐ অপরাধে ৬ মাস জেল ও হাজার টাকা জরিমানা করেন৷ রাঠোর সঙ্গে সঙ্গে জামিন পেয়ে যান৷ এত বড় ঘৃণ্য অপরাধে লঘু দন্ডের বিরুদ্ধে জনমানসে দেখা দেয় তীব্র অসন্তোষ৷ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি সোচ্চার হয়ে ওঠে এই রায়ের বিরুদ্ধে৷ নতুন করে বিচার শুরু হয় সেশন কোর্টে৷ আজ মঙ্গলবারের রায়ে রাঠোরের কারাবাসের মেয়াদ বাড়িয়ে দেড় বছর করার রায় দেন অতিরিক্ত জেলা ও সেশন জজ৷ তাঁকে পুলিশী হেফাজতে নিয়ে জেলে পাঠাবার আদেশ দেন৷ পূর্বকার রায় চ্যালেঞ্জ করে রাঠোর যে আপীল করেছিলেন, তা খারিজ করে দেন বিচারক৷ অবশ্য এই রায়ের বিরুদ্ধে এখনও উচ্চ আদালতে আপীল করার সুযোগ আছে রাঠোরের৷

এই রায়ে রুচিকার বাবা এস. সি গীরহোত্রা খুশি ব্যক্ত করে বলেন, রাঠোরের বিরুদ্ধে রুচিকাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করার অভিযোগে মামলা চলবে৷ আজকের রায় একথাই আবার প্রমাণ করলো, যত বড় প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোক না কেন আইনের উর্দ্ধে কেউ নয়, – বলেন রুচিকার বাবা৷ রুচিকার আইনজীবী এই রায়কে বলেছেন, ঐতিহাসিক৷ বিচার ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন


তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে/ ২৫-০৫-২০১০


Tuesday, May 25, 2010

শিশুমৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ হ্রাস

শিশুমৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ হ্রাস


১৯৭০ সালের তুলনায় সারা বিশ্বে শিশুমৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ কমেছে৷ সোমবার ব্রিটিশ চিকিৎসাবিদ্যা বিষয়ক সাময়িকী ‘দ্য ল্যান্সেট’এ প্রকাশ করা হয়েছে এই তথ্য৷

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, শিশুমৃত্যুর হার কমের দিক থেকে শীর্ষস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর৷ এই সাফল্য চার দশকে অর্জিত হলেও গত বিশ বছরেই শিশুমৃত্যুর হার কমেছে সবচেয়ে বেশি৷ ১৯৭০ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সি প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে ২০০ টিরও বেশি মারা যেতো৷ নতুন এই হিসাবে বলা হচ্ছে, নবজাতক এবং এক থেকে চার বছর বয়সি শিশুদের মৃত্যুর হার ২০১০ সালে ১১.৯ মিলিয়ন থেকে কমে আনুমানিক ৭.৭ মিলিয়নে পৌঁছেছে ৷ অবশ্য জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার ৬৬ শতাংশ কমানোর কথা রয়েছে৷ সেই বিবেচনায়, সোমবার প্রকাশিত সাফল্য খুব বেশি আশাব্যঞ্জক খবর নয়৷

তবুও প্রতিবেদনটিতে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মৃত্যুহার কমে আসার এই অর্জনকে উৎসাহব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতিসংঘের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন সম্ভব হবে৷ আর বর্তমান ধারায় এগুতে থাকলে ২০১৫ সালের মধ্যে জাতিসংঘের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে ব্রাজিল, মেক্সিকো, মালয়েশিয়া এবং মিশরসহ ৩১টি দেশ শতভাগ সাফল্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ অবশ্য, গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ১৮৭টি দেশের মধ্যে ৫৪টি দেশ লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে৷

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট ফর হেল্থ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন এর পরিচালক ক্রিস্টোফার মারে বলেন, গত ২০ বছরের অন্যতম বড় সাফল্য এটি৷ বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি শিশুমৃত্যুর হার ছিল সেগুলোতেও ঘটেছে এই অবিশ্বাস্য উন্নতি৷ তিনি বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের মৃত্যুহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে ব্যবধান অনেক বেশি হলেও, শিশুমৃত্যু হারের ক্ষেত্রে এই ব্যবধান বেশ কমে এসেছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় শিল্পোন্নত দেশগুলোতে শিশুমৃত্যুর হার অনেক কম৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী


তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে/ ২৪-০৫-২০১০