"শিশুদের জন্য হ্যাঁ বলুন" পথশিশুদের কখনো অবহেলা করবেন না। সুযোগ পেলে তারাও বিশ্ব জয় করতে পারবে! পথশিশুদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন। পথশিশুদের নিজের সন্তানের মত ভাবুন, তাদের সন্মান দিন। পথশিশুরা রাস্তায় জন্ম নেয় না তারা কোন না কোন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় চলে আসে।-- দিদারুল ইকবাল

Wednesday, May 26, 2010

কিশোরীর শ্লীলতাহানির অপরাধে হরিয়ানার প্রাক্তন পুলিশ প্রধানের দেড় বছর কারাবাস

কিশোরীর শ্লীলতাহানির অপরাধে

হরিয়ানার প্রাক্তন পুলিশ প্রধানের দেড় বছর কারাবাস


অবশেষে ১৬ বছরের কিশোরী রুচিকা গীরহোত্রার শ্লীলতাহানির অপরাধে হরিয়ানা পুলিশের প্রাক্তন প্রধান এসপিএস রাঠোরের কারাবাসের মেয়াদ ৬ মাস থেকে বাড়িয়ে দেড় বছর করার আদেশ দেন চন্ডীগড়ের এক আদালত৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জেলহাজতে পাঠাবারও নির্দেশ দেন পুলিশকে৷

২০ বছর আগে চন্ডীগড়ের কাছে পাঁচকুলা শহরে ১৬ বছরের উঠতি টেনিস খেলোয়াড় রুচিকার শ্লীলতাহানি করেছিল হরিয়ানার সাবেক ডিজি এস পি এস রাঠোর৷ তারপরেও রাঠোরের লোকজন রুচিকাকে ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করতো৷ মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে তার তিন বছর পর রুচিকা আত্মহত্যা করে৷ পুলিশ প্রধানের ভয়ে রুচিকার পরিবার তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যেতে ভয় পান৷

রুচিকা পরিবারের বন্ধু আনন্দ প্রকাশ ও তাঁর মেয়ে আরাধনা ছিল সেসময় এই ঘটনাক্রমের সাক্ষী৷ রুচিকার অনাবাসী বান্ধবী আরাধনা দেশে ফিরে ১৮ বছর পর রাঠোরের বিরুদ্ধে মামলা করেন৷ কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর বিশেষ আদালত গত বছর ডিসেম্বরে রাঠোর কে ঐ অপরাধে ৬ মাস জেল ও হাজার টাকা জরিমানা করেন৷ রাঠোর সঙ্গে সঙ্গে জামিন পেয়ে যান৷ এত বড় ঘৃণ্য অপরাধে লঘু দন্ডের বিরুদ্ধে জনমানসে দেখা দেয় তীব্র অসন্তোষ৷ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি সোচ্চার হয়ে ওঠে এই রায়ের বিরুদ্ধে৷ নতুন করে বিচার শুরু হয় সেশন কোর্টে৷ আজ মঙ্গলবারের রায়ে রাঠোরের কারাবাসের মেয়াদ বাড়িয়ে দেড় বছর করার রায় দেন অতিরিক্ত জেলা ও সেশন জজ৷ তাঁকে পুলিশী হেফাজতে নিয়ে জেলে পাঠাবার আদেশ দেন৷ পূর্বকার রায় চ্যালেঞ্জ করে রাঠোর যে আপীল করেছিলেন, তা খারিজ করে দেন বিচারক৷ অবশ্য এই রায়ের বিরুদ্ধে এখনও উচ্চ আদালতে আপীল করার সুযোগ আছে রাঠোরের৷

এই রায়ে রুচিকার বাবা এস. সি গীরহোত্রা খুশি ব্যক্ত করে বলেন, রাঠোরের বিরুদ্ধে রুচিকাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করার অভিযোগে মামলা চলবে৷ আজকের রায় একথাই আবার প্রমাণ করলো, যত বড় প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোক না কেন আইনের উর্দ্ধে কেউ নয়, – বলেন রুচিকার বাবা৷ রুচিকার আইনজীবী এই রায়কে বলেছেন, ঐতিহাসিক৷ বিচার ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন


তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে/ ২৫-০৫-২০১০


No comments:

Post a Comment