"শিশুদের জন্য হ্যাঁ বলুন" পথশিশুদের কখনো অবহেলা করবেন না। সুযোগ পেলে তারাও বিশ্ব জয় করতে পারবে! পথশিশুদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন। পথশিশুদের নিজের সন্তানের মত ভাবুন, তাদের সন্মান দিন। পথশিশুরা রাস্তায় জন্ম নেয় না তারা কোন না কোন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় চলে আসে।-- দিদারুল ইকবাল

Thursday, May 27, 2010

বাংলাদেশী বালকের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক : সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা জেলে

বাংলাদেশী বালকের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক : সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা জেলে


বাংলাদেশী এক বালকের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করায় মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএস এইডের চুক্তিভিত্তিক সাবেক এক কর্মকর্তাকে সাড়ে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ফেডারেল আদালত৷ বার্তা সংস্থা এপি এবং এএফপি পরিবেশিত ঐ খবরে জানানো হয়েছে, সাতষট্টি বছর বয়স্ক ঐ ব্যক্তির নাম উইলিয়াম রাড৷ যিনি ইউএস এইডের হয়ে বাংলাদেশে কাজ করতেন৷ তার বিরুদ্ধে বরাবরই অভিযোগ ছিল শিশুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের মতো অপরাধের৷ ২০০৪ সালের জুন মাসে তাকে ঢাকার একটি হোটেল থেকে আটক করা হয়৷ সে সময় তার হোটেল কক্ষে ছিল তিনজন বালক৷ এদের সকলের বয়স ১৬ বছরের নীচে৷ তিন জনের মধ্যে দুই জন অভিযোগ করে যে রাড তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন৷ অপর বালকটির বয়স ১০ বছর৷ সে জানায়, ইউএসএইডের ঐ কর্মকর্তা তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে৷ এই ঘটনার পরপরই রাড পাড়ি জমায় টোগোতে৷ কিন্তু থেমে ছিল না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্ত৷ তদন্তের পর রাডের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পান তদন্তকারী কর্মকর্তারা৷ তারা জানান, ঐ বালকের সঙ্গে ছয় মাস ধরে যৌন সম্পর্ক বজায় রেখেছিল রাড৷ তবে টোগোতে তাকে আটক করা হয় ইমিগ্রেশন আইন ভঙ্গ করার কারণে৷ আর শিশু নির্যাতনের ঘটনার ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তাকে আটক দেখায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ শিশুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে উইলিয়াম রাড শিশু নির্যাতন করেছেন - এ কথা জানিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত ফেডারেল আদালতের বিচারক রাডকে সাড়ে ছয় বছরের কারাদনণ্ড প্রদান করেন গতকাল সোমবার৷ একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিশুটিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫০০০ মার্কিন ডলার দেবার নির্দেশ দেয়া হয়৷ ঘৃণ্য এই কাজ স্বাভাবিক কোন মানুষ করতে পারে না উল্লেখ করে আদালত ঐ ব্যক্তিকে আরও ১০ বছর সংশোধনী কেন্দ্রে রাখার আদেশও দিয়েছে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী


তথ্য সূত্র: ডয়চে ভেলে/২৬-০৫-২০১০


No comments:

Post a Comment