শিশুমৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ হ্রাস
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, শিশুমৃত্যুর হার কমের দিক থেকে শীর্ষস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর৷ এই সাফল্য চার দশকে অর্জিত হলেও গত বিশ বছরেই শিশুমৃত্যুর হার কমেছে সবচেয়ে বেশি৷ ১৯৭০ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সি প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে ২০০ টিরও বেশি মারা যেতো৷ নতুন এই হিসাবে বলা হচ্ছে, নবজাতক এবং এক থেকে চার বছর বয়সি শিশুদের মৃত্যুর হার ২০১০ সালে ১১.৯ মিলিয়ন থেকে কমে আনুমানিক ৭.৭ মিলিয়নে পৌঁছেছে ৷ অবশ্য জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার ৬৬ শতাংশ কমানোর কথা রয়েছে৷ সেই বিবেচনায়, সোমবার প্রকাশিত সাফল্য খুব বেশি আশাব্যঞ্জক খবর নয়৷
তবুও প্রতিবেদনটিতে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মৃত্যুহার কমে আসার এই অর্জনকে উৎসাহব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতিসংঘের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন সম্ভব হবে৷ আর বর্তমান ধারায় এগুতে থাকলে ২০১৫ সালের মধ্যে জাতিসংঘের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে ব্রাজিল, মেক্সিকো, মালয়েশিয়া এবং মিশরসহ ৩১টি দেশ শতভাগ সাফল্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ অবশ্য, গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ১৮৭টি দেশের মধ্যে ৫৪টি দেশ লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে৷
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট ফর হেল্থ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন এর পরিচালক ক্রিস্টোফার মারে বলেন, গত ২০ বছরের অন্যতম বড় সাফল্য এটি৷ বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি শিশুমৃত্যুর হার ছিল সেগুলোতেও ঘটেছে এই অবিশ্বাস্য উন্নতি৷ তিনি বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের মৃত্যুহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে ব্যবধান অনেক বেশি হলেও, শিশুমৃত্যু হারের ক্ষেত্রে এই ব্যবধান বেশ কমে এসেছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় শিল্পোন্নত দেশগুলোতে শিশুমৃত্যুর হার অনেক কম৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে/ ২৪-০৫-২০১০
No comments:
Post a Comment